তারেক খানের একটা উপন্যাস পড়েছিলাম ক্রসফায়ার নিয়ে ‘কনডম পলিসি’, সে এক রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতা। কলেজ শিক্ষকের ভাইটির নাম উঠে গেছে র্যাবের তালিকায়, ফলে ভাত আর তার গলা দিয়ে নামে না, সারাক্ষন উদ্বেগ…
সেটার গল্প করাতে প্রয়াত দ্বিজেন শর্মা পড়তে দিয়েছিলেন মইনুল আহসান সাবের এর একটা উপন্যাস, ‘আবদুল জলিল যে কারণে মারা গেল’। দ্বিজেন শর্মার খুব পছন্দ হয়েছিল কাজটি, বিষয় আবদুল জলিল নামের নিরীহ এক মানুষকে ধরে নিয়ে অত্যাচার আর খুনের আনুষঙ্গিক বিবরণ, এবং কথোপকথন। নাটকের প্রচুর উপাদান আছে কাজটিতে
বেশ আগে পড়েছিলাম সুমন রহমানের ‘নিরপরাধ ঘুম’, গল্পটা আলোচিত হয়েছিল অনেক। ক্রসফায়ার নিয়ে প্রথম গল্প কি এটা? তার একটা কবিতাও পড়েছিলাম এ নিয়ে, নামটা মনে আসি আসি করে আসছে না, কিন্তু আচ্ছন্নতাটা এখনো অনুভব করতে পারি স্মৃতিতে …
আহমাদ মোস্তফা কামালের গল্প পড়লাম প্রথম আলোতে, এই সব নিয়ে, অমৃতের পুত্র। উন্মাদের মুখ থেকেই কেবল সত্যি কথা আসা সম্ভব, এমন যে বাস্তবতায় কাল কাটাচ্ছি, তার রুপায়ন।
হুময়ুন আহমেদের ‘হলুদ হিমু কালো র্যাব’ কি প্রথম উল্লেখ উপন্যাসে? শিরোনামটা অসাধারণ ধাক্কা দেয়, উপন্যাসটা একরকম চলে। কিন্তু দুই রঙের এই মুখোমুখি দাঁড় করানো নামকরণের মাঝে যে দুস্তর সৃজনশীশক্তি আর সাহস আছে, তা তুলনারহিত।
আশা করি সাহিত্যিকরা আরও বহু উপায়ে ও পথে এই সময়টুকু ধরে রাখছেন, হয়ত অনেকগুলা কাজ পড়া হয়ে ওঠেনি, সেগুলোর খোঁজ পেলেও মন্দ কী! সবাই আসা যাওয়ার মোসাহেবিতে তো নিশ্চয়ই নেই।
মন্তব্য করুন